তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
আগামী ৫ মে উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট। ৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত ভারতের এ স্যাটেলাইট প্রকল্পের সঙ্গী বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরও ছয়টি দেশ।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইআরএসও) চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার গত শুক্রবার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ৫ মে এটি উৎক্ষেপণ হতে পারে। এতে পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ উপকৃত হবে।
আইআরএসও জানিয়েছে, ভারতের শ্রীহরিকোটা মহাকাশবন্দর থেকে GSLV-09 রকেটের মাধ্যমে ২ হাজার ১৯৫ কেজি ওজনের এই যোগাযোগ স্যাটেলাইটটি (GSAT-9) উৎক্ষেপিত হবে। এতে থাকছে ১২ Ku-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডারস।
এরআগে ২০১৪ সালে কাঠমান্ডু সার্ক সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইটের কথা ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পরে এই প্রকল্পে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো যোগ দিলেও এ প্রকল্পে থাকতে রাজি হয়নি পাকিস্তান।
আইআরএসওর চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার জানান, দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইটের নকশা করতে লেগেছে ১২ বছরেরও বেশি। শুরুতে এর নাম `সার্ক স্যাটেলাইট` থাকলেও পাকিস্তান যুক্ত না হয় নাম বদলে দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট করা হয়।
গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্মেলন কক্ষে এ স্যাটেলাইন প্রকল্পে যোগ দিতে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ।
ওই চুক্তির ফলে বিনামূল্যে বিভিন্ন স্যাটেলাইট বেজ সার্ভিসের জন্য প্রস্তাবিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইটের (কেইউ ব্যান্ডে ১২টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট) ‘ক্যাপাসিটি’ ব্যবহার করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটে যে ১২টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে তার একটি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে দেবে ভারত।
এছাড়া বাংলাদেশ ট্রান্সপন্ডারটি কাস্টমাইজড করে নিজেদের মতো ব্যবহার করতে পারবে। তবে এর ডিজাইন, নির্মাণ, উৎক্ষেপণসহ সব কার্যক্রমে ব্যয়ভার বহন করবে ভারত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।